Posts

Showing posts from August, 2023

নিমোনিয়ায় লাইকোপোডিয়ামের লক্ষণ

  নিমোনিয়ায় লক্ষণ:-  নিমোনিয়ায় ২য় অবস্থায় যখন ফুসফুসে বাতাস থাকিবার গর্তগুলি এক প্রকার চটচটে ঘন রসে পূর্ণ হইয়া  যায়, ফুসফুস নিরেট হয়, ফুসফুসের ভিতর বাতাস থাকে না, সে জন্য ষ্টেথোস্কোপ দ্বারা বক্ষঃ পরীক্ষা করিলেও ফুসফুসে বায়ু যাতায়াতের শব্দ পাওয়া যায় না এই অবস্থায় রোগীর অবস্থা ক্রমশঃ মন্দ হইতে থাকিলে ইহা ব্যবহারে রোগী আরোগ্য প্রাপ্ত হয়। ইহাই রোগের তৃতীয়াবস্থা এ অবস্থায় উক্ত ২য় অবস্থার কতক রস শোষণ ও কতক কাশির সহিত নির্গত হয়। লাইকোর রোগী। চিৎ হইয়া শুইলে প্রত্যেকবার নিঃশ্বাস গ্রহণের সময় নাসিকার ডগার দুই পার্শ্বে । ফুলিয়া উঠে। কোন রোগীতে যদি এই লক্ষণ সহ সর্দি বেশ সরল, গয়ার প্রচুর। পরিমাণে উঠিতেছে কিন্তু শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্ট দূর হয় নাই, রোগেরও উপশম নাই কিম্বা রোগী কাশিয়া কাশিয়া গয়ার আদৌ তুলিতে পারিতেছে না, সর্দিও শ্রীঘ্র শোষণ হইতেছে না, কোন ঔষধে কিছুমাত্র ফল হইতেছে না তখন ৩০ বা ২০০ শক্তির ২/১ মাত্রা লাইকো প্রয়োগ করিয়া ২/১ দিন অপেক্ষা করিলে আশাতীত উপকার দর্শিবে। লাইকোতে সময়ে সময়ে গয়ার লোনা স্বাদ আবার কখনও কখনও অত্যন্ত দুর্গন্ধ হয়। রোগের বৃদ্ধি বৈকালে ৪টা হইতে

পরিপাক যন্ত্রের পীড়ায় (পাকাশয়ের উপসর্গ) লাইকোর ব্যবহার

 পরিপাক যন্ত্রের পীড়া:-  পরিপাক যন্ত্রের পীড়ায় (পাকাশয়ের উপসর্গ) লাইকোর ব্যবহার- পরিপাক যন্ত্রের উপরই লাইকোর প্রধান ক্রিয়া। প্রচুর ক্ষুধা থাকা সত্ত্বেও দুই চার গ্রাস আহার করার পর পেটটি দশম হইয়া উঠে। আহারের ২/৩ ঘন্টা পর হইতে পেটটি এরূপ বায়ুপূর্ণ হইয়া উঠে যে রোগীর ভয়ানক অস্বস্তি হয়। নিম্ন পথে বায়ু নিঃসরণ হইতেও চায় না, উদ্গারও উঠে না। চুকা ঢেকুর উঠে। পেটের কাপড়টি আলগা করিয়া দিতে হয় নতুবা পেটটি চড়চড় করে। বিকাল ৪টা হইতে ৮টা পর্যন্ত ইহার উদর লক্ষণগুলি বিশেষতঃ ক্লেশ সমূহ বৃদ্ধি পায়। অজীর্ণে টক ঢেকুর উঠে, পেট জ্বলে, পেট ফোলে এবং চুঁইলেই লাগে। পুরাতন পীড়ায় খাদ্য বস্তু সহজে হজম হয় না, তরল পানীয় ভিন্ন অন্য কোনও দ্রব্য আহার করিলেই পেটে বেদনা হয়। সময়ে সময়ে বমি হয়। ঢেকুর পূর্ণ ভাবে উত্থিত হয় না, কেবল গলা পর্যন্ত উঠে এবং গলা জ্বালা করে, মুখে জল উঠে।  ইহার উদরাময়ে তরল মলের সঙ্গে কঠিন মল মিশ্রিত থাকে, পেটে বেদনা থাকে না, বৈকালে ৪টা হইতে ৮টা পর্যন্ত উদরাময়ের বৃদ্ধি। মিষ্টি দ্রব্যে রুচি বেশী। উপরের পেট অধিক ফোলা, কোষ্ঠবদ্ধ, পেটে ভুটভাট করা, পেট ডাকা,

বার্ধক্যে ও বাল্যকালে (বৃদ্ধ ও শিশুদের পীড়ায়) লাইকোপোডিয়ামের কার্যকারিতা

  বার্ধক্যে ও বাল্যকালে (বৃদ্ধ ও শিশুদের পীড়ায়): - লাইকোপোডিয়াম বালক, বৃদ্ধ, যুবা, স্ত্রীলোক সকলের পক্ষেই উত্তম কার্যকরী, কিন্তু বালক ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত উত্তমভাবে কার্য করে। লাইকো রোগী তাহার বয়স অপেক্ষা অধিকতর বৃদ্ধের মত দেখায়। বালকদের মস্তক বেশ পরিপুষ্ট কিন্তু দেখিতে ক্ষীণ ও দুর্ব্বল। যে  সকল বালক ও বৃদ্ধ শেম্মা প্রধান ধাতুর, লিডার পীড়াগ্রস্ত, প্রস্রাবে লিথিক এসিড নির্গত হয়। মাথাটি বড়, গাত্রচর্ম শুষ্ক, রোগ ভোগ কালে খিটখিটে ও উদ্ধত, নিজেকে অপর অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ মনে করে, জীর্ণ শীর্ণ অথচ তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, তাহাদের ক্ষেত্রেই ইহা উত্তম কার্যকরী। ইহার শিশুরা নিদ্রা ভঙ্গের পর কিছুক্ষণ বিষণ্ন ও হতবাক হইয়া চাহিয়া থাকে। যেন হতবুদ্ধির ভাব। এই ভাব কাটিয়া গেলে অনবরত পা ছোঁড়ে, মাতাকে পর্যন্ত লাথি মারে এবং মুখ না ধুইয়াই খাইবার জন্য বায়না ধরে। কিছুক্ষণ পর মনের এই ভাবটি আর থাকে না। ইহার শিশুদের উর্দ্ধাংগ বেশী শুষ্ক ও শীর্ণ। সারাদিন খুঁত খুঁত করে, কাঁদে ও বায়না ধরে। অতিশয় ক্ষুধা কিন্তু সামান্য আহার করিলে ক্ষুধার অবসান, কোষ্ঠবদ্ধ, সামান্য ঠাণ্ডায় সর্দি ও রাত্রিকালে নাসা পথ বন্ধ,

লাইকোপোডিয়ামের চরিত্রগত লক্ষণ

  চরিত্রগত লক্ষণ:-     ১) রোগী শীতকাতর, যদিও শীতকাতর তথাপি অংশ বিশেষে ঠাণ্ডাই চায়- মাথার দিকে গরম অনুভব করে। ইহা কেবল বক্ষদেশের নিম্ন অংশ সমূহে গরম চায়। উদর যন্ত্রে শৈত্যানুভূতির জন্য গরম খাদ্য অভিলাষ অর্থঃ মাথায় ঠাণ্ডা আকাঙ্খা। ২) রোগ লক্ষণ ডানদিকেই সৰ্ব্ব প্রথম দেখা দিয়া বামদিকে ধাবিত হয় বা ডান পার্শ্বেই সীমাবন্ধ থাকে । ৩) অপিত্ত ও অজীর্ণে পেটে বায়ু সঞ্চয়, পেট ফোলা, পেট ডাকা, অম্ল- হেতু বুক জ্বালা, মুখে টক জল উঠা, টক ঢেকুর, আহারের পর তন্দ্রা ও আলস্য, কোষ্ঠ কাঠিন্য ৪) অতিরিক্ত ক্ষুধা কিম্বা অক্ষুয়া, দুই এক গ্রাস আহারের পরই পেট ফোলা, পেট দমশম হওয়া । ৫) দেহের উর্দ্ধাংশ শীর্ণ, নিম্নাংশ ফোলা । ৬) নাকের পাখা দুইটির উঠা পড়া, সর্দি অবস্থায় বা নিদ্রার মধ্যে বিনা সর্দিতে নাসিকা বন্ধ। ৭) প্রস্রাবের তলানি লালবর্ণ ইটের গুঁড়ার ন্যায়। কাপড়ে প্রস্রাব লাগিলে হলদে লাল মিশ্রিত রঙের ছোপ ধরে। ৮) দিন রাত্রি শুষ্ক কাশি, তৎসহ শরীরের ক্ষয় ও দুর্ব্বলতা। ৯) সারাদিন ক্রন্দন, কিছুতেই ধৈর্য ধারণ করিতে পারে না। ১০) অতিরিক্ত হস্তমৈথুন কিম্বা শুক্রনাশহেতু ধ্বজভঙ্গ। ১১) সঙ্গমের সময় বা পরে জ্বালা, যোনী

লাইকোপোডিয়ামের ক্রিয়াস্থান

  লাইকোপোডিয়ামের ক্রিয়াস্থান:- লাইকোপোডিয়ামের ক্রিয়াস্থান দৈহিক বিধানের উপর ইহা প্রবল জিনা করিয়া থাকে। মূত্র, পরিপাক যন্ত্র, রক্ত সঞ্চালন যন্ত্র, শৈষ্মিক ঝিল্পী ও স্নায়ু মণ্ডলের উপর ইহার প্রধান ক্রিয়া দেখিতে পাওয়া যায়। জননেন্দ্রিয় ও চর্মের উপরও বিশেষপে ক্রিয়া করিয়া থাকে। যকৃতের উপরই যেন সর্ব প্রথম বিশৃঙ্খলাটি বিকাশপ্রাপ্ত হয় এবং উপরে বায়ু সত্য, অজীর্ণ প্রভৃতি লক্ষণ আনীত হইয়া থাকে। লাইকোপোডিয়ান বালক, বৃদ্ধ, যুবা স্ত্রীলোক সকলের পক্ষেই উত্তম কার্যকরী। কিন্তু বালক ও বৃদ্ধদিগের পক্ষে অপেক্ষকৃত উত্তম। যাহাদের ক্ষীণদেহ, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি তাহাদের শরীরে এবং যাহাদের সহজেই বা ফুসফুসের ও লিভারের পীড়া হওয়ার প্রবণতা দেখিতে পাওয়া যায়। তাহাদিদের শরীরেই ইহা খুব ভাল ক্রিয়া করিয়া থাকে।

লাইকোপোডিয়ামের মানসিক লক্ষণ বর্ণনা

   লাইকোপোডিয়ামের মানসিক লক্ষণ- ১) রোগীর মনটি বড়ই দুর্ব্বল, ভীতিতে পরিপূর্ণ। নূতন কাজে হাত দিতে ভয় পায় কিন্তু একবার কাজ আরম্ভ করিলে অনায়াসে সে তাহা সমাধা করে। ২) নির্জনভাবে থাকিতে ভীতিজনক মনে হয়।  ৩) শান্তিপ্রিয়তা ইহার মনোলক্ষণের আর একটি দিক এবং সে জন্য পরিচিত বন্ধু বান্ধবের সঙ্গ পছন্দ করিলেও ইহার রোগী বেশী লোক পছন্দ করে না। ৪) কোমল স্বভাব, সামান্য বিষয়ে অতিশয় চঞ্চল হইয়া উঠে। দীর্ঘদিন বিচ্ছেদের পর কোনও আপনজনের সহিত সাক্ষাতে বা করুণ রসের কোন গল্প বা সঙ্গীত শুনিলে সে কাঁদিয়া ফেলে। ৫) অপরদিকে যকৃতের বিশৃঙ্খলা ও কোষ্ঠবদ্ধতা দেখা দিলে ইহার মনে একটা বিষণ্ণতা, বিরক্ত ও ভীতির ভাব বৃদ্ধি পায়। স্মৃতি শক্তির অল্পতা ও হত বুদ্ধির ভারও ইহাতে বেশ লক্ষ্য করা যায়। ৬) কথা বলিতে লিখিতে, বানান ভুল হয়। বক্তব্য শব্দ যোগায় না- ২/১ টি শব্দ বাদ পড়িয়া যায় ।  ৭) পীড়িত অবস্থায় রোগী নিজেকে অন্যের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করে এবং উত্তেজিত ভাবে আদেশ দেয়। ৮) নিদ্রা ভঙ্গের পর ইহার শিশুরা কিছুক্ষণ বিষণ্ন ও হতবাক হইয়া চাহিয়া থাকে যেন চতুর্দিকের সব কিছুই তাহার অপরিচিত। 

কাশিতে কোনায়ামের লক্ষণ

   কাশি লক্ষণ- বৃদ্ধদের কাশিতে ইহা উপযোগী। এক প্রকার শুষ্ক কাশি, কাশিতে কাশিতে দম আটকাইয়া যায়। রাত্রিতে শুইলে কাশির বৃদ্ধি, স্বর যন্ত্রের উত্তেজনা। গলা শুষ্ক, রোগী কাশিয়া গলার তুলিতে না পারিয়া গিলিয়া ফেলে। দিবা ভাগে আদৌ কাশি থাকে না। কিন্তু সন্ধ্যায় ও রাত্রে বৃদ্ধি প্রভৃতি লক্ষণে কোনায়াম উপকারী।

চক্ষু পীড়ায় কোনায়ামের লক্ষণ

  চক্ষু পীড়ায় কোনায়ামের লক্ষণ বর্ণনা কর।  চক্ষু পীড়া লক্ষণ— স্ক্রফিউলস ধাতুগ্রস্ত ব্যক্তিদের চক্ষু রোগে প্রদাহ খুব বেশী নয়, অথচ আলোকের দিকে তাকাইতে পারে না এই লক্ষণে কোনায়াম উপযোগী। চক্ষুর যন্ত্রণা রাত্রিকালে বৃদ্ধি হয়, আলোক একেবারেই অসহ্য, অন্ধকারে বা চক্ষু বাঁধা থাকিলে আরাম বোধ, রোগী সর্বদাই চক্ষুর পাতা ফেলিয়া রাখে, চক্ষুর পাতার আংশিক বা সম্পূর্ণ পক্ষাঘাত। যেখায় চক্ষুর কোন বিশেষ প্রদাহ নাই কিন্তু আলোক অসহ্য সেজন্য চক্ষু বন্ধ রাখে, চক্ষু খুলিতেই গরম অশ্রু স্রাব বেগে নির্গত হইতে থাকে, তথায় কোনায়ামই একমাত্র ঔষধ । চক্ষুর ছানি রোগে এবং আঘাত যদি চক্ষু পীড়ার কারণ হয় তাহা হইলেও ইহা উৎকৃষ্ট ফলদায়ক।

স্ত্রী পীড়ায় কোনায়ামের লক্ষণ

  স্ত্রী পীড়ায় কোনায়ামের লক্ষণ লিখ ।  স্ত্রী পীড়ায় লক্ষণ:— ঋতুস্রাব সামান্য অল্পদিন স্থায়ী বা একেবারেই না থাকা প্রভৃতি অবস্থাগুলি ইহাতে বর্তমান আছে। তাহা ছাড়া ঋতুকালে সমগ্র দেহে ছোট ছোট লাল বর্ণের স্ফোটক দেখা দেয় এবং স্রাব অবসানের সঙ্গে সঙ্গেই ঐগুলি মিলাইয়া যায়। ঋতুর ঠিক ৮/১০ দিন পর ইহার শ্বেত প্রদর স্রাব দেখা দেয়। এই স্রাব কখনও রক্ত মিশ্রিত, কখনও দুগ্ধবৎ সাদা গাঢ়, মাঝে মাঝে বন্ধ হয়, যেখানে লাগে সেখানে হাজিয়া যায়। স্তনদ্বয়ের গ্রন্থি স্ফীতি, ডিম্বাধার প্রদাহ। প্রথমে গ্যাণ্ড সমূহে কোন প্রকার যন্ত্রণা থাকে না। তবে শুধু ঋতুস্রাবকালে স্তনে বেদনার অনুভূতি হয়। ঋতুস্রাবের সময় ব্যতীত অন্য সময় স্তনের লক্ষণ স্বাধীন ভাবে দেখা দেয় তখন তাহা ক্রমান্বয়ে শক্ত হইতে থাকে এবং কোনরূপ বেদনা তখন থাকে না ।

পুংজননেন্দ্রিয়ের উপর কোনায়ামের লক্ষণ বা ক্রিয়া বর্ণনা কর।

  পুংজননেন্দ্রিয়ের লক্ষণ বা ক্রিয়া- জননেন্দ্রিয়ের উপর কোনায়াম সুন্দর কাজ করিয়া থাকে। লিঙ্গের দুর্বলতা, কামরিপু চরিতার্থ করার খুব ইচ্ছা কিন্তু স্ত্রী সহবাসে সম্পূর্ণ অক্ষম। স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে এমনকি স্মরণ করিলেও অসাড়ে বীর্যপাত হইয়া যায়। জননেন্দ্ৰিয় উত্তেজিত হয় না, শিথিল। জননেন্দ্রিয়ের এই প্রকার পীড়া হইতে নানা প্রকার মানসিক পীড়া উপস্থিত হয়। পুরুষ বা স্ত্রী অতিরিক্ত ইন্দ্রিয় পরিচালনা হেতু বা চির কৌমার্যব্রত পালন করিয়া মানসিক পীড়াগ্রস্ত হইয়া পড়িলে বা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস জনিত দৌর্বল্য পক্ষাঘাতে পরিণত হইলে কোনায়াম ফলপ্রদ ।

কোনায়ামকে আইবুড়ো ও আইবুড়ীদের ঔষধ বলা হয় কেন?

 আইবুড়ো ও আইবুড়ীদের ঔষধ বলা হয়- চিরকুমার অধিক বয়স্ক পুরুষ ও স্ত্রীলোকদের ক্ষেত্রে কোনায়াম একটি মূল্যবান ঔষধ । বৃদ্ধ বয়সের রোগে অর্থাৎ জীবনের শেষ অবস্থায় যখন দুৰ্ব্বলতা, অবসাদ, স্থানীয় প্রদাহ প্রভৃতি শরীরে আশ্রয় নেয় তখনই কোনায়াম অধিক উপযোগী। যুবা ও বয়স্কদের অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কুফলে ইন্দ্রিয় শৈথিল্য, ধ্বজভঙ্গ, স্মৃতি শক্তির দুর্ব্বলতা প্রভৃতি লক্ষণ ইহাতে দৃষ্ট হয়। কৌমার্যব্রত পালন হেতু কাম প্রবৃত্তি সংযত রাখাতে বা কাম প্রবৃত্তির অত্যধিক পরিচালনা হেতু বৃদ্ধ বয়সে যাহাদের দৈহিক ও মানসিক দুর্ব্বলতা আসিয়া ক্রমে পক্ষাঘাত পরিণত হইয়াছে তাদের ক্ষেত্রে ইহা সুন্দর কাজ করে। ফলতঃ জীবনের সন্ধিক্ষণে দেহ মন দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িলে, দৃষ্টি শক্তির ক্ষীণতা, দেহের কম্পন, হাত পায়ে শক্তি না থাকা, পায়ের আড়ষ্ট ভাব দেখা দিলে এবং যে সকল পুরুষ বা স্ত্রীলোক দীর্ঘকাল ইন্দ্রিয় সংযমের ফলে আলস্য, কার্যে অনিচ্ছা, স্বভাবে উগ্রতা, ক্রোধ, লোক সঙ্গ পছন্দ না করা, বৃদ্ধদের প্রষ্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি হেতু থামিয়া থামিয়া মূত্র নির্গত হওয়া প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয় তখন কোনারাম অতীব উপকারী ঔষধ। সেজন্যই ইহাকে আই

কোনায়মের চরিত্রগত বা নির্দেশক লক্ষণ

  ১) মনটি বিষাদময় এবং ধীরে মনের পঙ্গুতাটি ভিতর হইতে বাহিরের দিকে অর্থাৎ মন হইতে দেহে পরিব্যপ্ত হইয়া রোগীকে পক্ষাঘাত গ্রস্ত করিয়া ফেলে এবং এই পক্ষাঘাত লক্ষণটি নিম্নাঙ্গ হইতে উপরের দিকে ধাবিত হয়। ২) কাম সংযত রাখা হেতু বা কাম প্রবৃত্তির অধিক পরিচালনা করিয়া বৃদ্ধ বয়সে শারীরিক ও মানসিক দুৰ্ব্বলতা, তাহা হইতে ক্রমে পক্ষাঘাত, স্মৃতিশক্তির হ্রাস, সমস্ত শরীরের গ্রন্থি সমূহ বেদনা শূন্য শক্তভাব । ৩) গাড়ী, ঘোড়া ও নৌকা চড়িয়া যাওয়ার সময় পাশে তাকাইলে মাথা ঘোরা ও বিবমিষা, শায়িত অবস্থায় পার্শ্ব পরিবর্তনের সময় মাথা ঘুরিযা থাকে। ঘুমাইবার সঙ্গে সঙ্গেই ঘর্ম হওয়া । ৪) লবণাক্ত ও অদ্রব্য এবং উত্তাপে বিশেষ করিয়া সূর্যতাপে ইহার রোগীর বিশেষ স্পৃহা থাকে । মুক্ত বাতাসে, স্পর্শে এবং শব্দে ইহার একটি বিতৃষ্ণা দেখা দেয়। ৫) রাত্রে শুইলে বুক ও গলা কুট কুট করিয়া কাশি। রোগীর পায়ে সামান্য ঠাণ্ডার স্পর্শ সর্দি কাশির আবির্ভাব এবং শয়নের প্রথম দিকেই ঐ কাশি বৃদ্ধি । ৬) প্রস্রাব ত্যাগের সময় ভীষণ কষ্ট, প্রস্রাব একবার হয় আবার বন্ধ হইয়া যায়। ৭) ঋতুস্রাব বন্ধ কিংবা অনেক বিলম্বে ও স্বল্প মাত্রায় হয়।   ১০ দিন

কোনায়মের মানসিক লক্ষণ

   ১) রোগী অলস, নির্ব্বোধ, উদাসীন, জড় বিশেষ ও বিষণ্ন। ২) স্মৃতি শক্তি অত্যন্ত দুর্ব্বল ও ক্ষীণ। সেজন্য কোনও বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারে না । ৩) রোগী একাকী থাকিতে ভয় পায় অথচ সঙ্গও পছন্দ করে না।  ৪) মনটি বিষাদময়, এত ধীরে ধীরে এই অবস্থা আসিতে থাকে যে রোগীর আত্মীয় স্বজনরা বুঝিতে পারে না সে কোন দিকে চলিতেছে । ৫) সামান্য কারণে অসম্ভষ্ট হয় ও সকল ব্যাপারেই শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করিতে চায়।