কোনায়মের চরিত্রগত বা নির্দেশক লক্ষণ
১) মনটি বিষাদময় এবং ধীরে মনের পঙ্গুতাটি ভিতর হইতে বাহিরের দিকে অর্থাৎ মন হইতে দেহে পরিব্যপ্ত হইয়া রোগীকে পক্ষাঘাত গ্রস্ত করিয়া ফেলে এবং এই পক্ষাঘাত লক্ষণটি নিম্নাঙ্গ হইতে উপরের দিকে ধাবিত হয়।
২) কাম সংযত রাখা হেতু বা কাম প্রবৃত্তির অধিক পরিচালনা করিয়া বৃদ্ধ বয়সে শারীরিক ও মানসিক দুৰ্ব্বলতা, তাহা হইতে ক্রমে পক্ষাঘাত, স্মৃতিশক্তির হ্রাস, সমস্ত শরীরের গ্রন্থি সমূহ বেদনা শূন্য শক্তভাব ।
৩) গাড়ী, ঘোড়া ও নৌকা চড়িয়া যাওয়ার সময় পাশে তাকাইলে মাথা ঘোরা ও বিবমিষা, শায়িত অবস্থায় পার্শ্ব পরিবর্তনের সময় মাথা ঘুরিযা থাকে। ঘুমাইবার সঙ্গে সঙ্গেই ঘর্ম হওয়া ।
৪) লবণাক্ত ও অদ্রব্য এবং উত্তাপে বিশেষ করিয়া সূর্যতাপে ইহার রোগীর
বিশেষ স্পৃহা থাকে । মুক্ত বাতাসে, স্পর্শে এবং শব্দে ইহার একটি বিতৃষ্ণা দেখা দেয়।
৫) রাত্রে শুইলে বুক ও গলা কুট কুট করিয়া কাশি। রোগীর পায়ে সামান্য ঠাণ্ডার স্পর্শ সর্দি কাশির আবির্ভাব এবং শয়নের প্রথম দিকেই ঐ কাশি বৃদ্ধি ।
৬) প্রস্রাব ত্যাগের সময় ভীষণ কষ্ট, প্রস্রাব একবার হয় আবার বন্ধ হইয়া যায়।
৭) ঋতুস্রাব বন্ধ কিংবা অনেক বিলম্বে ও স্বল্প মাত্রায় হয়।
১০ দিন পর শ্বেত প্রদর থাকে। ঋতুকালে স্তনে বেদনা।
৮) স্তনে ও অণ্ডকোষে প্রদাহ অথবা অত্যন্ত কাঠিন্য।
১৯) হস্তমৈথুনের কুফল জনিত ধ্বজভঙ্গ, একটুমাত্র চঞ্চল হইলেই শুক্রক্ষরণ হয়।
১০) চক্ষুতে কোন প্রকার প্রদাহ নাই অথচ আলোক অসহ্য। প্রায়ই চক্ষু হইতে জল পড়ে।
১১) দিনরাত্রি ধর্ম, ঘুমাইলে ধর্ম ।
Comments
Post a Comment