নিমোনিয়ায় লাইকোপোডিয়ামের লক্ষণ

 নিমোনিয়ায় লক্ষণ:- নিমোনিয়ায় ২য় অবস্থায় যখন ফুসফুসে বাতাস থাকিবার গর্তগুলি এক প্রকার চটচটে ঘন রসে পূর্ণ হইয়া  যায়, ফুসফুস নিরেট হয়, ফুসফুসের ভিতর বাতাস থাকে না, সে জন্য ষ্টেথোস্কোপ দ্বারা বক্ষঃ পরীক্ষা করিলেও ফুসফুসে বায়ু যাতায়াতের শব্দ পাওয়া যায় না এই অবস্থায় রোগীর অবস্থা ক্রমশঃ মন্দ হইতে থাকিলে ইহা ব্যবহারে রোগী আরোগ্য প্রাপ্ত হয়। ইহাই রোগের তৃতীয়াবস্থা এ অবস্থায় উক্ত ২য় অবস্থার কতক রস শোষণ ও কতক কাশির সহিত নির্গত হয়। লাইকোর রোগী। চিৎ হইয়া শুইলে প্রত্যেকবার নিঃশ্বাস গ্রহণের সময় নাসিকার ডগার দুই পার্শ্বে । ফুলিয়া উঠে। কোন রোগীতে যদি এই লক্ষণ সহ সর্দি বেশ সরল, গয়ার প্রচুর। পরিমাণে উঠিতেছে কিন্তু শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্ট দূর হয় নাই, রোগেরও উপশম নাই কিম্বা রোগী কাশিয়া কাশিয়া গয়ার আদৌ তুলিতে পারিতেছে না, সর্দিও শ্রীঘ্র শোষণ হইতেছে না, কোন ঔষধে কিছুমাত্র ফল হইতেছে না তখন ৩০ বা ২০০ শক্তির ২/১ মাত্রা লাইকো প্রয়োগ করিয়া ২/১ দিন অপেক্ষা করিলে আশাতীত উপকার দর্শিবে। লাইকোতে সময়ে সময়ে গয়ার লোনা স্বাদ আবার কখনও কখনও অত্যন্ত দুর্গন্ধ হয়। রোগের বৃদ্ধি বৈকালে ৪টা হইতে ৮টা।

Comments

Popular posts from this blog

পরিপাক যন্ত্রের পীড়ায় (পাকাশয়ের উপসর্গ) লাইকোর ব্যবহার

পুংজননেন্দ্রিয়ের উপর কোনায়ামের লক্ষণ বা ক্রিয়া বর্ণনা কর।