Posts

Showing posts from July, 2023

প্রস্রাবের পীড়ায় আজ্জেন্ট নাইট্রিকাম

  প্রস্রাবের পীড়ায়:-  ছোট ছোট পাথরী নির্গমন হেতু কিডনীতে রক্ত সঞ্চিত হইয়া প্রস্রাব কালে ভংঙ্কর বেদনা ও যন্ত্রণা অনুভূত হইলে ডাঃ প্রেসটনই সর্বপ্রথম ইহা ব্যবহারের পরামর্শ দেন। মূত্র অজ্ঞাতসারে এবং অবাধে নির্গত হয় তবে সরল স্বচ্ছন্দ ভাবে নয়। প্রস্রাব নির্গমন কালে অত্যন্ত জ্বালা, মনে হয় যেন ইউরেথ্রা ফুলিয়াছে। হঠাৎ প্রস্রাবের বেগ আসে। প্রস্রাব ঘন, রক্ত মিশ্রিত অথব ইউরিক এসিড মিশ্রিত। বহুমূত্র বা অন্য কোন প্রস্রাবের পীড়ায় অধিক পরিমাণে প্রস্রাব নির্গত হয়। প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার পরেও ২/১ ফোঁটা প্রস্রাব নির্গত হয়। সহজে প্রস্রাবের বেগ বন্ধ করা যায় না। এই পীড়ার প্রধান লক্ষণ হইল এই যে রোগীর মুখমণ্ডল নিমগ্ন, বিবর্ণ ও নীলাভ। তাহাকে অকাল বৃদ্ধের মত দেখায়। মুখখানি যেন শুকাইয়া গিয়াছে। কোমরের একদিক হইতে অন্যদিক পর্যন্ত ও মূত্রথলীর উপর ঘিনঘিনে ব্যথা ।

পাকস্থলীর পীড়ার আজ্জেন্ট নাইট্রিকাম লক্ষণ

  পাকস্থলীর পীড়ার লক্ষণ:-   পাকাশয়িক লক্ষণের উপর এই ঔষধটির ক্রিয়া অনেক। জলপান করা মাত্রই বাহ্যের বেগ, বায়ুশূল বেদনা, ঢেকুর উঠা, আহারের পরেই পেট ফোলা ও বাহ্যের সঙ্গে জোরে কড় কড় শব্দ হইয়া বায়ু নিঃসরণ এই লক্ষণ কয়টি উদরাময়ে আর্জেন্টের বিশেষ লক্ষণ বলিয়া স্মরণ রাখা উচিত। বাহ্যে অত্যন্ত দুর্গন্ধ, বাহ্যের রঙ অল্প সবুজ কিম্বা হরিদ্রা বর্ণের, আবার হলদে রঙ এর বাহ্য হইলে ও উহা কিছুক্ষণ ন্যাকড়ায় থাকিলে তাহার রঙ সবুজ হইয়া যায়। ক্ষুধানাশ এবং পানীয়ে অনিচ্ছা। রোগী চিনি খাইতে চায়। চিনি খাইলেই রোগী পিড়ীত হয়, ঢেকুর উটে, পেট ফাঁপা বাড়ে, পাকস্থলীলে অম্ল জমে। চিনি হইতে বৃদ্ধি এত স্পষ্ট যে, মাতা মিছরী খাইলে দুগ্ধপোষ্য শিশুর সবুজ বর্ণ উদরাময় হয়। আহারের পর পেট ফুলিয়া দাস্ত হয়। তাহার কিছুক্ষণ পর অত্যধিক শব্দের সহিত জোরে বায়ু নির্গত হয়। উদ্ধারে রোগী উপশম বোধ করে। পাকস্থলী, যকৃত ও উদরা যন্ত্রণা পূর্ণ। পাকস্থলীর প্রদাহ, পাকস্থলীর ক্ষত। উদরাময়েরে সহিত প্রচুর বায়ু নির্গমণ। স্তন্যপায়ী শিশুদের মলের সহিত অত্যন্ত বায়ু নির্গমন, তাহার সাথে-সাথেই পেট কামড়ান, চটচটে, রক্তাক্ত মল ও কুছন। মাই ছাড়

আজ্জেন্ট নাইট্রিকাম চরিত্রগত লক্ষণ

  চরিত্রগত লক্ষণ- ১) মানুষের ভীড়ে ভয়। ২) খাওয়ার খাওয়ার কিছু পরেই পেট বেদনা এবং যতক্ষণ পেটে খাওয়ার থাকে ততক্ষণ বেদনা থাকে। খাওয়ারের এক ঘণ্টা পরই বমন। ৩) পেট বায়ুতে পরিপূর্ণ ও ফুলিয়া উঠে। মনে হয় যেন পেটটি ফাটিয়া যাইবে। ঢেঁকুর উঠিলে পেট পোলার উপশম। উচ্চ শব্দে ঢেঁকুর উঠে। ৪) শিশুরা চিনি ভালভাসে কিন্তু খাইলেই পেটের পীড়া শুরু হয়।  ৫) সব কাজে রোগী তাড়াহুড়া করে । ৬) অজীর্ণ রোগ। উদরাময় ও আমাশয়ে তরল পদার্থ পানের পর বাহ্যের বৃদ্ধি এবং রোগীর মনে হয় যেন যাহা পানাহার করিতেছে, তাহাই নামিরা যাইতেছে। ৭) চক্ষু পিচুইটিতে জড়াইয়া যায়। চক্ষু রক্তবর্ণ এবং যন্ত্রণা বৃদ্ধি পায় ।  ৮) আধ কপালে মাথা ধরা মাথায় কিছু জোরে বাঁধিলে সামান্য উপশম বোধ। ৯) দিবারাত্রি অসাড়ে প্রস্রাব নিঃসরণ। প্রস্রাবের সময় (গনোরিয়ায়) জ্বালা-মনে হয়।    ১০) ধূমপায়ীদের কাশি, যখন কাশে, মনে হয় যেন গলায় চুল আছে। উহা প্রথমে শুষ্ক পরে সরল। ১১) কোন স্থানে যাইতে আরম্ভ করিলে বাহ্য পায়। ১২) নাসিকার সেপ্টমে ক্ষত, নাসিকায় কোন গন্ধ পাওয়া যায় না।  ১৩) ইউট্রাস হইতে রক্তস্রাব, সেই সঙ্গে শিরঃপীড়া। নড়াচড়ায় পাড়ার বৃদ্ধি ঘটে। স্

বাবা পিছিয়ে আছেন কেন তা জানেন না

  ১.  মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না। ২।  মা বিনা বেতনে সংসার চালায়, বাবা তার সমস্ত বেতন সংসারের জন্য ব্যয় করেন, উভয়ের প্রচেষ্টাই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না। ৩.  মা আপনার যা ইচ্ছা তাই রান্না করেন, বাবা আপনি যা চান তা কিনে দেন, তাদের উভয়ের ভালবাসা সমান, তবে মায়ের ভালবাসা উচ্চতর হিসাবে দেখানো হয়েছে। জানিনা কেন বাবা পিছিয়ে। ৪.  ফোনে কথা বললে প্রথমে মায়ের সাথে কথা বলতে চান, কষ্ট পেলে ‘মা’ বলে কাঁদেন। আপনার প্রয়োজন হলেই আপনি বাবাকে মনে রাখবেন, কিন্তু বাবার কি কখনও খারাপ লাগেনি যে আপনি তাকে অন্য সময় মনে করেন না?  ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ভালবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে, প্রজন্মের জন্য, বাবা কেন পিছিয়ে আছে জানি না। ৫.  আলমারি ভরে যাবে রঙিন শাড়ি আর বাচ্চাদের অনেক জামা-কাপড় দিয়ে কিন্তু বাবার জামা খুব কম, নিজের প্রয়োজনের তোয়াক্কা করেন না, তারপরও জানেন না কেন বাবা পিছিয়ে আছেন। ৬.  মায়ের অনেক সোনার অলঙ্কার আছে, কিন্তু বাবার একটাই আংটি আছে যেটা তার বিয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবুও মা কম গহনা নিয়ে অভিযোগ করতে

জিংঙ্কাম মেটালিকাম শিরঃপীড়ার (মাথাব্যথা) লক্ষণ

শিরঃপীড়ায়:-  ইহার পুরাতন প্রকৃতিযুক্ত মাথা ধরার সঙ্গে দুর্বলতা ও মাথার পিছন দিকে অত্যান্ত যন্ত্রণা থাকে। যন্ত্রণার প্রকৃতি ছিঁড়িয়া ফেলাবৎ এবং উহা কোনও প্রকার চাপ দিলে ও মুক্ত বাতাসে উপশমিত হয় এবং গরম ঘরে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু শরীরের অন্যান্য স্থানের যন্ত্রণা অবশ্য গরমেই হ্রাস পায়। যন্ত্রণার মাত্রাধিক্যে জিঙ্ক রোগীর সমস্ত শরীরটি ঘর্মাপ্লুত হইয়া উঠে। কিন্তু ঐ ঘামে ইহার কোনও উপশমই আসে না। মস্তিষ্কের ক্লাস্তি বা অবসন্নতা, নিউরালজিক মাথা ব্যথা, সেই সময়ে যাহা দেখে, তাহার অর্ধভাগ দেখিতে পায়, অপরাধ দেখিতে পায় না। আলোক ভীতি ও শিরোঘূর্ণন । কপালের দিক হইতে মাথা ব্যথা আরম্ভ হইয়া পশ্চাৎদিকে ব্যপ্ত হয়।

জিংকামের চরিত্রগত লক্ষণ

  চরিত্রগত লক্ষণ:-  ১) জীবনীশক্তির বিপর্যতা, কোন রোগ লক্ষণই স্বাভাবিক নিয়মে পরিস্ফুট হয় না। ২) শরীরস্থ স্বাভাবিক স্রাব চাপা পড়িয়া নানা প্রকার রোগাক্রমণ এবং বাধাপ্রাপ্ত দস্তোদম হেতু মস্তিষ্ক প্রদাহ। ৩) ঐ সকল বাধাপ্রাপ্ত অবস্থাদির পূর্ণবিকাশে রোগের উপশম ও আরোগ্য প্রবৃত্তি।  ৪) নিদ্রিতাবস্থায় শিশু কাঁদিয়া উঠে, নিদ্রাভঙ্গ হইলেই যেন সে কত ভয় পাইয়াছে এইরূপ ভাব দেখায়, কাঁদে এবং মস্তক এপাশ ওপাশ চালনা করিতে থাকে। ৫) মিষ্ট দ্রব্য আহার করিলেই বুক জ্বালা করে, বমি হয়, গা বমি করে। ৬) কোন পীড়ায় পদদ্বয় অজ্ঞাতসারে স্পন্দিত হয়, রোগী অবিশ্রান্ত পা নাড়ে। ৭) মিষ্টান্ন আহার করিলে কাশি বৃদ্ধি পায় এবং পাকস্থলী হইতে কণ্ঠমধ্যে মিষ্টরস উত্থিত হয়। ৮) ঋতুস্রাব আরম্ভ হইলে সকল প্রকার যন্ত্রণার উপশম এবং স্রাব বন্ধ হইলেই আবার যন্ত্রনা শুরু হয়।  ৯) দাঁত উঠার সময় দুর্বল শিশুদের তড়কা, কিন্তু জ্বর থাকে না।  ১০) ধনুষ্টংকার, মেরুদণ্ডের ইরিটেশন, স্নায়ুর ক্ষমতালোপ, পিঠ ছুইতে দেয় না। ১১) সন্ধ্যায়, রাত্রিতে ও প্রাতে চক্ষুর জ্বালা যন্ত্রণা বৃদ্ধি । ১২) বসিয়া থাকিলে কোমর বেদনা বৃদ্ধি ।  ১৩) আক্ষেপিক কাশি, ক

জিংকাম মেটালিকাম এর মানসিক লক্ষণ

  মানসিক লক্ষণ:- ১) রোগীর মেজাজ সহজেই উত্তেতি হয়। নিস্তেজতাপূর্ণ অবস্থায় রোগী চুপচাপ পড়িয়া থাকে। চক্ষুদ্বয়   অর্ধনিমিলীত, এমনকি চোখের ভিতর আঙ্গুল প্রবশ করানো সত্ত্বেও রোগীর কোন সাড়াই পাওয়া যায় না। একেবারে মৃতবৎ পড়িয়া থাকাই ইহার প্রকৃতি ।  ২) স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা। কোন কাজ করিতে কথা বলিতে অনিচ্ছা ও বিরক্তিবোধ । ৩) যতক্ষণ পর্যন্ত রোগীর জ্ঞান থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত সে মনে করে, যেন কত পাপই না করিয়াছে এবং একথা মনে করিয়া সে অত্যান্ত অস্থির হইয়া উঠে এবং ঐ অস্থিরতাটি তাহার পদদ্বয়েই প্রধানতঃ সীমাবদ্ধ থাকে। ৪) কোন প্রশ্ন করিলে রোগী বোকার ন্যায় চাহিয়া থাকে, কিম্বা প্রত্যেক প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করিয়া উত্তর দেয়। ৫) রাত্রিকালে নিদ্রার মধ্যে হাঁটিয়া বেড়ায়। ৬) কোনও পরিশ্রম ও গণ্ডগোল সহ্য করিতে পারে না। ৭) কামোত্তেজনা সহ কামোন্মত্ততা। 

কষ্টিকামের প্রয়োগ ক্ষেত্র

  প্রয়োগক্ষেত্র: -  পক্ষাঘাত, শিশুদের পীড়া, কোষ্ঠবদ্ধত, অর্শ, কাশি, স্বরভঙ্গ, চক্ষুর পীড়া, কর্ণ ও মুখের পীড়া, দন্তের পীড়া, বাত, মৃগী রোগ, আঁচিল, তড়কা, সন্যাস রোগ, মূত্রযন্ত্রের পীড়া ও স্ত্রীরোগে কস্টিকাম ব্যবহৃত হয়।

বাত রোগে কষ্টিকামের লক্ষণ

  বাত রোগে-    কস্টিকামে বাত আক্রান্ত স্থান খুব শক্ত ও অসাড় হইয়া থাকে, মনে হয় যেন সেখানকার মাংসপেশীসমূহ একত্রে বাঁধা আছে। গলা, কোমর হাত ও পায়ে শক্ত ও আড়ষ্ট ভাব দেখা যায়। ঘাড় ও গলায় শক্ত ও আড়স্টভাব, সেজন্য মাথাটি পর্যন্ত নাড়িতে পারে না। পুরাতন বাত। কোমরেও সে রকম অস্থির উপর বেদনা শক্তভাব, বিশেষতঃ বসিয়া উঠিতে গেলে বেদনা অধিক বোধ হয়। বাতে হাত ও পদদ্বয়ের পক্ষাঘাত। হাত যেন সর্বদাই সেঁটে থাকে ও সেই সঙ্গে বেদনা। সমস্ত পায়ে, উরুতে, হাঁটুতে, পায়ের পাতায় সেঁটে ধরা ও ফেড়ে ফেলার মত বেদনা। এই বেদনা যুক্ত বায়ু লাগিলে, সন্ধ্যায়, রাত্রিতে এবং নড়াচড়ায় বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়, বিছানায় শুইয়া থাকিলে উপশম। বাতজনিত প্রদাহ এবং সেজন্য হাত পা খেলিবার পেশীসমূহের সংকোচন এবং সন্ধিসমূহের শক্ত ভাব। বাতে পঙ্গু হইলে ইহা অপেক্ষা ফলপ্রদ ঔষধ আর নাই।  

স্ত্রীরোগে কষ্টিকামের লক্ষণ

  স্ত্রীরোগে লক্ষণ - কস্টিকামে স্ত্রীরোগী সুস্থ ও সবল মাতারূপে কখনও পরিগণিত হইতে পারে না। শুধু যে ঋতুস্রাবের নানা প্রকার বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় তাহা নহে, সঙ্গম কার্যটিও তাহাদের নিকট যন্ত্রণাদায়ক হইতে দেখা যায়। কোনও প্রকারে গর্ভ সঞ্চিত হইলে গর্ভস্থ শিশুটি স্বাভাবিক ভাবে বর্ধিত হয় না। তাহা ছাড়া প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধ প্রদর স্রাব, স্তবদ্বয়ের শুষ্কতা বোঁটার ক্ষত ও ফাটা ফাটা ভাব এগুলিই কষ্টিকামের স্ত্রীচিত্র। ঋতুস্রাবটি চলাফেরা করিলে অর্থাৎ দিবাভাগে বৃদ্ধি হয় ও রাত্রে শয়নে উহা লোপ পায় (বিপরীত ক্রিয়োজোট)। ঋতুর পূর্বে বা ঋতুকালীন পেটে মোচড়ানি ব্যথা হইলে, সামনে ঝুঁকিলে বেদনার উপশম হইলে এবং ঐ বেদনা ও রজঃস্রাব আদৌ রাত্রে না থাকিলে কস্টিকাম উপকারী।

মুত্রযন্ত্রের পীড়ায় কষ্টিকামের লক্ষণ

  মুত্রযন্ত্রের পীড়ায় লক্ষণ - ইহার রোগী প্রস্রাবের বেগ এক মুহূর্তও ধারণ করিতে পারে না। অসাড়ে প্রায়ই প্রস্রাব নির্গত হয়। পুনঃ পুন প্রস্রাবের বেগ, তৎসঙ্গেই অসাড়ে ২/১ ফোঁটা মূত্র নিঃসরণ, হাঁচিতে কাশিতে প্রস্রাব নিঃসরণ, প্রস্রাব দ্বারে চুলকানি, চলাফেরার সময় ফোঁটা ফোঁটা প্রসাব নিঃসরণ, নিদ্রিতাবস্থায় অসাড়ে মূত্রত্যাগ, প্রথম নিদ্রাতেই শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব গ্রীষ্মকালে কম, শীতকালে বেশী। মূত্রথলীর গ্রীবাদেশে পক্ষাঘাত প্রভৃতি লক্ষণে কষ্টিকাম উপকারী। কষ্টিকামের প্রস্রাবে লিথিক এসিড প্রচুর পরিমাণে থাকে। প্রস্রাবের তলানি কালচে কটা রঙের ঘোলা বা ধোয়ার মত ।

কাশি ও স্বরভঙ্গে কষ্টিকামের লক্ষণ

  কাশি ও স্বরভঙ্গে লক্ষণ-   কস্টিকামে গলার ভিতর বেদনা, টাটানি ভাব ও জ্বালা। কাশিতে গলা সুড় সুড় করে, গলার ব্যথা থাকে, অনেকবার কাশিবার পর সামান্য একটু গয়ার উঠে এবং কাশিবার ধমকে অনেক সময় অসাড়ে প্রস্রাব নির্গত হয়। সামান্য ঠাণ্ডা জলপানে উহা উপশমিত হয়। সন্ধ্যায় ও বিছানার গরমে কাশি বাড়ে। প্রাতে স্বরভঙ্গের বৃদ্ধি, প্রাতে স্বরনালী অত্যন্ত শুষ্ক ও গলার স্বর কর্কশ থাকে। কিন্তু পানাহার করিলে বা কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলিলে ক্রমশ ঐ ভাবটি কমিয়া আসে। গলার স্বর প্রায় বন্ধ, তৎসহ টাটানি ব্যথা। চীৎকার করিয়া বা জোরে কথা বলিতে পারে না। রোগী মনে করে গলায় শ্লেষ্মা জড়াইয়া আছে, সে জন্য পুনঃ পুনঃ উহা তুলিয়া ফেলার চেষ্টা করে। শ্বাসনলীর কোনও তরুণ পীড়া অতীত হইবার পরও পুরাতন স্বরভঙ্গে প্রাতে বৃদ্ধি পাইলে কস্টিকামই উপযোগী।  

আঁচিলে কষ্টিকামের লক্ষণ

আঁচিলে লক্ষণ — থুজাই আঁচিলের প্রধান ঔষধ। তবে কস্টিকাম তাহার নিচে। কস্টিকামের আঁচিল নিরেট, আকারে ক্ষুদ্র ও থেবড়া কিন্তু সূঁচাল । ইহা সাধারণত মুখে, পায়ে, চোখের পাতায়, নাকের ডগায়, হাতের আঙ্গুলে ও নথের ধারে হয়। পুজা, আঁচিল ফাটা ফাটা। চোখে, যোনীর উপর, নাসিকায়, আঙ্গুলে আঁচিল।  ক্যাল কার্ব- মুখে, ঘাড়ে শরীরের উর্ধাংশের আঁচিল।  লাইকোপোডিয়াম-ফাটা ফাটা আঁচিল, দাড়ীতে ও হাতে।  নেট্রাম মিউর- হাতের আঙ্গুলে অসংখ্যা আঁচিল, হাতের তালুতেও হয়।   নেট্রাম সালফ— আঁচিল গাঁট, মলদ্বারে, পেটে ও উরুর মধ্য স্থলে আঁচিলের ন্যায় উদ্ভেদ। নাইট্রিক এসিড- আঁচিল যেন ভিজা ভিজা, ফুলকপির মত, শক্ত, ছুঁইলেই রক্ত পড়ে। মুখে, চক্ষুর পাতায়, বাহুতে, আঙ্গুলে আঁচিল ।

কষ্টিকামের মানসিক ও চরিত্রগত লক্ষণ

  মানসিক লক্ষণ - ১) তীব্র সুস্পষ্ট ও সুনিশ্চিত ভীতিপূর্ণ উৎকণ্ঠা। আসন্ন দুর্ভাগ্যের বিভীষিকাময় ঘটনাসমূহ সুনিশ্চিত ভাবে সংঘটিত হইবেই এই প্রকার একটি অবাস্তব চিন্তাধারা মনের মধ্যে সর্বদাই দানা বাঁধিয়া থাকে। ২) মনটি অত্যন্ত দুর্বল ও বিষাদে পরিপূর্ণ। অন্যদিকে মনটি কোমলও বটে। ৩) অপরের দুঃখে কাঁদিয়া ফেলে, রক্ত দেখিলে ভয় পায় । ৪) সকল বিষয়ে আশা শূন্য, চুপচাপ বসিয়া থাকার স্বভাব। ৫) অনেকদিন ধরিয়া মানসিক দুশ্চিন্তা, দুঃখ ও শোক সন্তাপ ভোগ করিয়া এই প্রকার মানসিক গোলযোগ।  চরিত্রগত লক্ষণ  - ১) হঠাৎ ভয়, আনন্দ, ক্রোধ, পুরাতন শোক, অনিদ্রা, রাত্রিজাগরণ এবং মৃত চর্মপীড়া জনিত কোনও পীড়ার উৎপত্তি। ২) ভঙ্গ, হঠাৎ স্বর বন্ধ হইয়া ল্যারিনজিয়াল পেশীর পক্ষাঘাত । গলায় টাটানি বেদনাসহ গলাধরা, প্রাতে স্বরভঙ্গের বৃদ্ধি । ৩) কাশি এবং কাশিতে খুব গলা খাকাইয়া ভিতর হইতে গয়ার তুলিতে অসমর্থ, ঠাণ্ডা জল পান করিলে কাশির উপশম। কাশিতে কাশিতে অসাড়ে প্রস্রাব নিঃসরণ। ৪) প্রথম ঘুমেই ছেলেরা বিছানায় প্রসাব করে ।  ৫) শিশুরা অনেক বিলম্বে চলিতে শিখে। ৬) ঘন ঘন বাহ্যের বেগ কিন্তু বাহ্য হয় না। দাঁড়াইয়া খুব জোরে কোঁথ দিলে ত