জিংকামের চরিত্রগত লক্ষণ

 চরিত্রগত লক্ষণ:- 

১) জীবনীশক্তির বিপর্যতা, কোন রোগ লক্ষণই স্বাভাবিক নিয়মে পরিস্ফুট হয় না।
২) শরীরস্থ স্বাভাবিক স্রাব চাপা পড়িয়া নানা প্রকার রোগাক্রমণ এবং বাধাপ্রাপ্ত দস্তোদম হেতু মস্তিষ্ক প্রদাহ।
৩) ঐ সকল বাধাপ্রাপ্ত অবস্থাদির পূর্ণবিকাশে রোগের উপশম ও আরোগ্য প্রবৃত্তি। 
৪) নিদ্রিতাবস্থায় শিশু কাঁদিয়া উঠে, নিদ্রাভঙ্গ হইলেই যেন সে কত ভয় পাইয়াছে এইরূপ ভাব দেখায়, কাঁদে এবং মস্তক এপাশ ওপাশ চালনা করিতে থাকে।
৫) মিষ্ট দ্রব্য আহার করিলেই বুক জ্বালা করে, বমি হয়, গা বমি করে।
৬) কোন পীড়ায় পদদ্বয় অজ্ঞাতসারে স্পন্দিত হয়, রোগী অবিশ্রান্ত পা নাড়ে।
৭) মিষ্টান্ন আহার করিলে কাশি বৃদ্ধি পায় এবং পাকস্থলী হইতে কণ্ঠমধ্যে মিষ্টরস উত্থিত হয়।
৮) ঋতুস্রাব আরম্ভ হইলে সকল প্রকার যন্ত্রণার উপশম এবং স্রাব বন্ধ হইলেই আবার যন্ত্রনা শুরু হয়। 
৯) দাঁত উঠার সময় দুর্বল শিশুদের তড়কা, কিন্তু জ্বর থাকে না। 
১০) ধনুষ্টংকার, মেরুদণ্ডের ইরিটেশন, স্নায়ুর ক্ষমতালোপ, পিঠ ছুইতে দেয় না।
১১) সন্ধ্যায়, রাত্রিতে ও প্রাতে চক্ষুর জ্বালা যন্ত্রণা বৃদ্ধি ।
১২) বসিয়া থাকিলে কোমর বেদনা বৃদ্ধি । 
১৩) আক্ষেপিক কাশি, কাশিবার সময় শিশু জননেন্দ্রিয়ে হাত দেয়।
১৪) পশ্চাৎ দিকে হেলিয়া না বসিলে প্রস্রাব হয় না।
১৬) মুখে রক্ত আস্বাদ ।
১৭) ধর্মাবস্থায় গায়ে কোন চাপা রাখিতে পারে না।
১৮) বেলা ১১টার সময় রাক্ষুসে ক্ষুধা, খাবার সময় খুব ক্ষুধার্ত কিন্তু তাড়াতাড়ি আহার করিতে পারে না।
১৯) মেনিনজাইটিস হইবার আশংকা। 
২০) পুরাতন শিরঃপীড়া মস্তিষ্কের ক্লান্তি বা অবসন্নতা।
২১) শিশু কলেরার পর হাইড্রোকেফালস।

Comments

Popular posts from this blog

নিমোনিয়ায় লাইকোপোডিয়ামের লক্ষণ

পরিপাক যন্ত্রের পীড়ায় (পাকাশয়ের উপসর্গ) লাইকোর ব্যবহার

পুংজননেন্দ্রিয়ের উপর কোনায়ামের লক্ষণ বা ক্রিয়া বর্ণনা কর।