পাকস্থলীর পীড়ার আজ্জেন্ট নাইট্রিকাম লক্ষণ
পাকস্থলীর পীড়ার লক্ষণ:-
পাকাশয়িক লক্ষণের উপর এই ঔষধটির ক্রিয়া অনেক। জলপান করা মাত্রই বাহ্যের বেগ, বায়ুশূল বেদনা, ঢেকুর উঠা, আহারের পরেই পেট ফোলা ও বাহ্যের সঙ্গে জোরে কড় কড় শব্দ হইয়া বায়ু নিঃসরণ এই লক্ষণ কয়টি উদরাময়ে আর্জেন্টের বিশেষ লক্ষণ বলিয়া স্মরণ রাখা উচিত। বাহ্যে অত্যন্ত দুর্গন্ধ, বাহ্যের রঙ অল্প সবুজ কিম্বা হরিদ্রা বর্ণের, আবার হলদে রঙ এর বাহ্য হইলে ও উহা কিছুক্ষণ ন্যাকড়ায় থাকিলে তাহার রঙ সবুজ হইয়া যায়। ক্ষুধানাশ এবং পানীয়ে অনিচ্ছা। রোগী চিনি খাইতে চায়। চিনি খাইলেই রোগী পিড়ীত হয়, ঢেকুর উটে, পেট ফাঁপা বাড়ে, পাকস্থলীলে অম্ল জমে। চিনি হইতে বৃদ্ধি এত স্পষ্ট যে, মাতা মিছরী খাইলে দুগ্ধপোষ্য শিশুর সবুজ বর্ণ উদরাময় হয়। আহারের পর পেট ফুলিয়া দাস্ত হয়। তাহার কিছুক্ষণ পর অত্যধিক শব্দের সহিত জোরে বায়ু নির্গত হয়। উদ্ধারে রোগী উপশম বোধ করে। পাকস্থলী, যকৃত ও উদরা যন্ত্রণা পূর্ণ। পাকস্থলীর প্রদাহ, পাকস্থলীর ক্ষত। উদরাময়েরে সহিত প্রচুর বায়ু নির্গমণ। স্তন্যপায়ী শিশুদের মলের সহিত অত্যন্ত বায়ু নির্গমন, তাহার সাথে-সাথেই পেট কামড়ান, চটচটে, রক্তাক্ত মল ও কুছন। মাই ছাড়ার পর শিশুদের উদরাময়। উদরাময় ও আমাশয়ের মলের সহিত পর্দার মত পদার্থ নির্গত হয়। বাহ্যের সঙ্গে সুতার ন্যায় লাল বা সবুজ রঙের আম অথবা থোলো থোলো সাদা আম নির্গত হয়।
Comments
Post a Comment