Posts

Showing posts from April, 2023

চর্মরোগে নেট্রাম মিউর

  চর্মরোগে   : চর্মরোগে নেট্রাম মিউরের লক্ষণ- নেট্রাম মিউর ও তাহার পরিপূরক সিরিয়ার শুরু নাতীর একজিমা ও নানা প্রকার চর্মপীড়া পরিস্ফুট এইতে প্রায়ই দেখা যায়, তবে সিপিয়ার চর্মপীড়া অত পরিসর, কিন্তু নেট্রাম মিটবে তাহা সুবিস্তৃত আকারে বিকাশ লাভ করে। নেট্রাম মিউরের যাবতীয় চর্ম লক্ষণ গ্রীষ্মকালেই বৃদ্ধি পায়। আর সিপিয়ার বৃদ্ধি গ্রীষ্ম অপেক্ষা বর্ষাকালেই বেশী। নেট্রামের চর্মোপরি শুদ্ধতার অনুভূতিটি ঠাণ্ডাজল প্রয়োগে উপশমিত হয়। নেট্রামের একজিমায় সর্বদা রস ও পূঁজ ঝরে, মামড়ি পড়ে তাহাতে চুল জড়াইয়া যায়। সবিরাম জ্বর সহ আমবাত, তাহাতে অত্যন্ত চুলকানি থাকিলে ইহা উপকারী। হাতের কনুই এর নীচে, হাঁটুর নীচে ও অণ্ডকোষের একজিমার ইহার অধিক উপকারী। জল লাগিলে ইহার চর্মপীড়ার বৃদ্ধি পায় ও চুলকানি বাড়ে। আঙ্গুলের চামড়া শুষ্ক ও ফাটা তজ্জন্য সেলাইয়ের কার্যাদি করিতে পারে না।

দুর্বলতা ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসে নেট্রাম মিউর

  দুর্বলতা ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসে  : চোখের দুর্বলতা ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসে নেট্রামের লক্ষণ- চোখের প্রায় সমস্ত মাংসপেশীগুলিই দুর্বল হইয়া পড়ে, চোখের পাতা নাড়িবার সময় মাংসপেশীর দুর্বলতা বশত উহা আড়ষ্ট বোধ হয়। পড়িবার সময় অক্ষরগুলি অস্পষ্ট দেখায়, মনে হয় যেন ঐগুলি একসঙ্গে জড়াইয়া গিয়াছে। ঐ সঙ্গে মেরুদণ্ড দুর্বল ও উপদাহযুক্ত হয়। ভাল ঘুম হয় না, দৃষ্টির ব্যঘাত ঘটে।

হৃৎপিণ্ডের পীড়ায় নেট্রাম মিউরের লক্ষণ

  হৃৎপিণ্ডের পীড়ায়  : হৃৎপিণ্ডের পীড়ায় নেট্রাম মিউরের লক্ষণ- রোগী হৃৎপিণ্ডটিকে অতিশয় দুর্বল মনে করে। শুইলে বিশেষতঃ বামদিক চাপিয়া শুইলে বুক ধড়ফড়ানি ও দুর্বলতা যেন আরও বৃদ্ধি পায়, হাত পা অসাড় ও ঠাণ্ডা হয়, হৃৎপিণ্ড কখনও কখনও অত্যন্ত জোরে স্পন্দিত হয়, তাহাতে সমস্ত শরীর যেন কাঁপিয়া উঠে। হৃৎপিতের ভিতর যেন পাখার মত ঝটপট করে, হৃৎপিণ্ডের আঘাত অসমান ও মধ্যলোপী- অর্থাৎ চলিতে চলিতে মধ্যে মধ্যে একেবারে থামিয়া যায়। নড়াচড়ায় বৃদ্ধি পায়। দুর্বল ও রক্তহীন ব্যক্তিগন যাহারা মানসিক শোক সন্তাপে ক্লিষ্ট হইয়াছে কিংবা রস-রক্ত বা শুক্রাদি ক্ষয় হেতু অত্যন্ত দুর্বল হইয়া পড়িয়াছে তাহাদের এই প্রকার হৃৎপিণ্ডের পীড়ায় নেট্রাম উপকারী।

শিরঃপীড়ায় বা মাথাব্যেথায় নেট্রাম মিউরের লক্ষণ

  শিরঃপীড়ায় :  শিরঃপীড়ায় নেট্রাম মিউরের লক্ষণ- পুরাতন শিরঃপীড়া, আধকপালে মাথাব্যথা এবং শিরঃশূলে নেট্রাম মিউর একটি মহৌষধ। স্নায়বিক দুর্বলতা ও মাথার ব্রহ্মতালুর ভয়ানক বেদনা ও দপদপ করে। অনেক সময় প্রাতঃকালে ঘুম ভাঙ্গিবার পর হইতেই মাথার দপদপানি ব্যথা আরম্ভ হয়, সঙ্গে পিপাসা থাকে, রোগী যন্ত্রনায় পাগলের মত হইয়া উঠে। নেট্রামে সম্মুখ রগে ভয়ানক বেদনা হয়, তাহাতে মনে হয় যেন কপাল ফাটিবে, কেহ যেন হাতুড়ি মারিতেছে। মাথার ব্রহ্মতালুর বেদনায় মাথা ভারী বোধ হয়, চাপ দিলে যেন যন্ত্রনা একটু কমে। রোগীর মুখ চোখ রক্তহীন ও ফ্যাকাশে বর্ণের। মাথা বেথার সঙ্গে রোগীর দৃষ্টি ঝাপসা হইয়া আসে। স্ত্রীলোকদের ঋতু স্রাবের পর মাথাব্যথার বৃদ্ধি হইলে ইহা উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিদ্যালয়ের বালক বালিকাদের শিরঃপীড়ায়ও নেট্রাম মিউর একটি অতি ফলদায়ক ঔষধ। নেট্রাম মিউরের শিরঃপীড়ার একটি বিশেষত্ব এই যে সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে শিরঃপীড়া আরম্ভ হইয়া দুই প্রহরে বেদনা অত্যন্ত বৃদ্ধি পায় এবং সুর্যাস্তের সঙ্গে বেদনা কমিয়া যায়। বালক বালিকাদের শিরঃপীড়ায় ক্যাম ফস ও খুব উপকারী।

রক্তহীনতায় নেট্রাম মিউরের লক্ষণ কি?

  রক্তহীনতায় লক্ষণ: - রক্তহীনতায় নেট্রাম মিউর -উত্তম ঔষধ। শরীরের রক্ত যখন কমিয়া যায় ও সেই জন্য সর্বাঙ্গের পুষ্টি সাধনের ব্যাঘাত ঘটে, রোগী যখন ক্রমশঃ দুর্বল ও জীর্ণ শীর্ণ হইয়া পড়ে। সামান্য মানসিক বা শারীরিক পরিশ্রমেই ক্লান্তি বোধ করে ও বুক ধড়ফড় করে তখন নেট্রাম মিউর ব্যবস্থেয়। শরীর হইতে তেজস্কর তরল পদার্থের ক্ষয় হইয়া রক্তহীনতা পীড়া হইলে অর্থাৎ পুরুষদের অতিরিক্ত বীর্য্য ক্ষয় হেতু ও স্ত্রীলোকদের ঋতু সংক্রান্ত পীড়া বশতঃ রক্তহীনতা রোগ হইলে ও দুর্বলতা আসিলে নেট্রাম মিউর সমধিক উপকারী। মাড়ী হইতে সর্বদা রক্ত চুয়াইয়া পড়িতে থাকিলে, মুখে, জিহ্বায়, দাঁতের গোড়ায় ঘা হইলে, শ্বাস-প্রশ্বাসে অত্যন্ত দুর্গন্ধ বাহির হইলে এবং জিহ্বার মানচিত্রের ন্যায় দাগ পড়িলে নেট্রাম মিউর ভাল ফল করে। কোন পুরাতন পীড়ায় রক্ত হীনতার ফলে যখন স্নায়বিক পীড়া দেখিতে যায়, তখন কতকগুলি মানসিক লক্ষণের উপর লক্ষ্য রাখিয়া নেট্রাম মিউর প্রয়োগ করিলে সুফল পাওয়া যায়। যেমন- রোগীর মন সর্বদা বিষণ্ণ থাকে, সামান্য কারণেই কাঁদিয়া ফেলে, সান্তনা দিলে দুঃখ উপলিয়া উঠে, এইরূপ কাঁদার সহিত বুক ধড়ফড় করে ও নাড়ী মাঝে মাঝে

পুরুষত্বহীনতায় এনাকাডিয়ামের প্রয়োগ লক্ষণ কি?

  পুরুষত্বহীনতায় প্রয়োগ : জ্ঞাতসারেই হোক বা অজ্ঞাতসারেই হোক ক্রমাগত বীর্যস্থলন হইয়া এই পীড়া ও তৎসহ স্বাৰু দৌর্বল্য লক্ষণ প্রকাশিত হইলে ইহার ১২ শক্তি প্রতাহ প্রাতে সেবনে উপকার পাওয়া যায়। বাহ্যের সময় ও প্রস্রাবের পর কেবল অৰ্শ পীড়ায় এনাকার্ডিয়ামের ব্যবহার রক্ত স্রাবযুক্ত অর্শে এবং যে অর্শে রক্ত পড়ে না তাহাতেও সেসাথে রেকটামের ফিসার বা ফাটা ঘায়ে ইহা উপকারী।

মেরুদণ্ডের পীড়ায় এনাকাডিয়ামের লক্ষণ লিখ

  মেরুদণ্ডের পীড়ায় : হাঁটু ও মেরুদণ্ডের পীড়া সহ কোনও এক নির্দিষ্ট অংশের পক্ষাঘাত। রোগীর বোধ হয় যেন তাহার মেরুদণ্ডের ভিতর কিছু গুঁজি দেওয়া রহিয়াছে বা শরীরটিতে যেন জোরে কেহ ব্যান্ডেজ বাঁধিয়া রাখিয়াছে সেজন্য চলার শক্তি থাকে না। এক প্রকার মরিবাম আক্ষেপিক বেদনা পায়ের গোড়ালি হইতে আরম্ভ হইয়া পায়ের গোছের ভিতরে যায়। 

স্মরণশক্তি হ্রাসে এনাকার্ডিয়ামের প্রয়োগ লক্ষণ লিখ

  স্মরণশক্তি হ্রাসে এনাকার্ডিয়ামের প্রয়োগ লক্ষণ : স্নায়বিয় বৃদ্ধ ও ভগ্নস্বাস্থ্য ব্যক্তিদের স্মৃতিশক্তি হ্রাসে ইহা একটি মূল্যবান ঔষধ । অতিরিক্ত অধ্যয়ন বা অত্যধিক মানসিক শ্রমজন্য স্নায়বিক দুর্বলতায় ইহা অধিক ফলপ্রদ । পরীক্ষা দিবার পূর্বে ছাত্রদের বিশেষ ভয় হয়। তাই ইহা ছাত্রদের স্মৃতিসুধা । পরীক্ষার একমাস পূর্ব হইতে ইহা প্রত্যহ সেবনে স্মৃতিশক্তি বর্ধিত হয়। অতিরিক্ত ইন্দ্রিয় পরিচালনা জনিত বা হস্তমৈথুনের কুফলের জন্য মস্তিষ্কের দুর্বলতায় ও স্মরণ শক্তি হ্রাসে ইহা মহা উপকারী। কোন দুর্বলকর পীড়ার পর স্মৃতি শক্তি হ্রাসেও ইহা উত্তম ফল প্রদান করে ।

হেমিওপ্যাথিক রেপার্টরী কাহাকে বলে?

  প্রশ্ন- হেমিওপ্যাথিক রেপার্টরী কাহাকে বলে? উত্তর ঃ হোমিওপ্যাথিতে রোগী চিকিৎসায় সঠিক ঔষধ নির্বাচনের সুবিধার্থে জানব দেহ ও মনের সর্ব প্রকার রোগ লক্ষণ ও উহার সদৃশ ঔষধাবলীর নাম যে পুস্তকে ধারাবাহিকভাবে আভিধানিক পদ্ধতিতে সজ্জিত থাকে, তাহাকে রেপার্টরী বলে। রেপার্টরী এমন একটি ঔষধ ভান্ডার যাহা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার নির্দেশক এবং সাদৃশ্যতম ঔষধটি মেটিরিয়া মেডিকার মহাসমুদ্র হইতে আহরন করার চাবিকাঠি হিসাবে কাজ করে।

হেমিওপ্যাথিক রেপার্টরী কাহাকে বলে?

  প্রশ্ন- হেমিওপ্যাথিক রেপার্টরী কাহাকে বলে? উত্তর ঃ হোমিওপ্যাথিতে রোগী চিকিৎসায় সঠিক ঔষধ নির্বাচনের সুবিধার্থে জানব দেহ ও মনের সর্ব প্রকার রোগ লক্ষণ ও উহার সদৃশ ঔষধাবলীর নাম যে পুস্তকে ধারাবাহিকভাবে আভিধানিক পদ্ধতিতে সজ্জিত থাকে, তাহাকে রেপার্টরী বলে। রেপার্টরী এমন একটি ঔষধ ভান্ডার যাহা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার নির্দেশক এবং সাদৃশ্যতম ঔষধটি মেটিরিয়া মেডিকার মহাসমুদ্র হইতে আহরন করার চাবিকাঠি হিসাবে কাজ করে।